Relaks Radio Bangla sasa
yawn

বহুকাল ধরে আমরা জেনে এসেছি হাই তোলা হলো ঘুমের সংকেত, কিন্তু আমরা যে এই ভুল ধারনা পোষণ করে আসছি তা চিকিৎসা বিজ্ঞান কত সহজেই জানিয়ে দিয়েছে।

সাধারণত আমরা যখন কাজের মধ্যে ক্লান্ত, বিরক্ত কিংবা ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি তখন নিজের অজান্তেই হাই তুলে বসি। মাঝেমধ্যে তো অনেকের মাঝে দিয়ে লজ্জায় ও পড়ে যাই।

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি যে কেনো এমনটা হয়?

আসলে যখন আমাদের মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ে তখন মস্তিষ্কের অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় এবং তার কর্মদক্ষতা কমে যায় আর তাতেই মস্তিষ্ক গরম হয়ে যায়। সে অবস্থায় যখন হাই তোলা হয় তখন
মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিস্ককে ঠান্ডা করে তুলে। তাতেই কর্মদক্ষতা অক্ষুন্ন থাকে।
মুলত বিশ্রামে্র কারণে মস্তিষ্ক শীতল হওয়ার সুযোগ পায়। মানুষ সাধারনত অভুক্ত ও জেগে থাকার সময় কেবল হাই তোলে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর নয়!

অর্থাৎ হাই তোলার ফলে মস্তিষ্কে ডোপামাইন লেভেল বেড়ে যায় এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ কাজ করার ক্ষমতা জন্মায়। এবং অক্সিটোসিন নামে এই কেমিক্যাল এর ক্ষরণ বেড়ে আমাদের মন ও মেজাজ ফুরফুরে করে তুলে