Relaks Radio Bangla zzz
Ghost

গভীর রাতে হটাৎ করেই প্রায় ছাদের উপর থেকে ধুম ধাম শব্দ,মারবেল পড়ার শব্দ, শিল পাটা্র বা ফার্নিচার টানার শব্দ,নূপুরের শব্দ ইত্যাদির শব্দ পাওয়া যায়। কি ভাবছেন কোনো ভূত প্রেত এর কাজ?

সাধারনত অলৌকিকভাবে এসকল ঘটনা গুলোকে নানাভাবে ব্যাখ্যা দিলেও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা কী বলে টা জেনে নেওয়া যাক।

বাসা বাড়িতে পানি বা পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ছোট-বড় নানা আকৃতির পাইপ থাকে যা রাতের বেলা তুলনামুলক কম ব্যবহৃত হয় এবং তখন পাইপের ভিতর এয়ার পকেট তৈরি হয়ে পাইপের ভিতর বিস্ফোরণ হয়ে শব্দের প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে যা অনেকটা মার্বেল পড়ার শব্দের মত।
আবার এসির কারনে ঘণীভবন প্রক্রিয়ার জলে এসির পাইপের ভিতরে পানি পড়ে যা মার্বেল পড়ার শব্দ তৈরি করে।

এছাড়া ফার্নিচার বা অন্য কোনো বস্তু টানলে তা ভাইব্রেশন হয়ে মার্বেল পড়ার শব্দ বা ভিন্ন শব্দ সৃষ্টি করে।

এখন আসা যাক শিল পাটায় মশলা বাটার শব্দের ব্যাখ্যা নিয়ে-

এয়ার কন্ডিশনারের কম্প্রেসারে গোলযোগ থেকে যে পাথর ঘসাঘষির শব্দ শিল পাটায় বাটার মতোই। কিংবা, আশেপাশের কেউ হয়তো রাতে বেলা মশলা বাটায় বসে গেছেন।

এসব ছাড়াও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রাণীর কারনেও দেয়ালে আঁচড়ের শব্দও শুনা যায়।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে শুধু রাতের বেলাতেই কেনো শুনা যায়,অন্য সময় না কেনো?

মূলত শব্দের ফ্রিকয়েন্সি, পাওয়ার,এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার সাথে অন্যান্য গোলযোগ পূর্ণ শব্দের কারনে মুল আওয়াজ বিকৃত হয় বিধায় আমাদের কানে পোঁছায় না।

তবে রাতের বেলা গোলযোগ মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় যা আমরা সহজেই শুনতে পারি। তবে এসবের সাথে কিন্তু আমাদের দুর্বল মস্তিষ্ক অনেকটা দায়ী।